সম্প্রতি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খনন করছিলেন গবেষকেরা। চেংদু'র 'সংক্সিংদুই' নামক স্থানটি খননকাজের সময় সেখান থেকে পাঁচশর বেশি প্রাচীন নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিন হাজার বছর আগে সোনার তৈরি একটি মাস্ক অন্যতম।
বর্তমানে সারাবিশ্বে মহামারি ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করা হয়। তবে এটির ব্যবহার বছর দুই নয় চীনে শুরু হয়েছিল ৩ হাজার ২০০ বছর আগে। 'সংক্সিংদুই' অঞ্চলটি ৩১৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত 'শু' রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। পশ্চিম সিচুয়ান উপত্যকায় হান নদীর অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল এই রাজ্য। শিল্পকর্মের জন্য খ্যাতিও ছিল রাজ্যটির।
সেসময় তারা মাস্ক ব্যবহার করতেন। তবে কোনো উৎসব আয়োজন থাকলে সে সময় আভিজাত্য বোঝাতে ব্যবহার করতেন সোনার তৈরি মাস্ক। এরই প্রমাণ মিলেছে এই গবেষণায়। সোনার তৈরি মাস্ক ছাড়াও এখানে পাওয়া গেছে পাখির আকারের সোনার অলঙ্কার, স্বর্ণের ফয়েল,ব্রোঞ্জের তৈরি মানুষের মাথার প্রতিকৃতি, ব্রোঞ্জের মাস্ক,ব্রোঞ্জের তৈরি একটি গাছ, হাতির দাঁতের তৈরি নানান শিল্পকর্ম। সব মিলিয়ে পাঁচশর বেশি মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পেয়েছেন গবেষকরা।
চীনের ন্যাশনাল কালচারাল হেরিটেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য মতে প্রত্নতত্ত্ববিদদের খুঁজে পাওয়া সোনার মাস্কটি তিন হাজার বছরের পুরোনো। মাস্কটির ৮৪ শতাংশই সোনা। ওজন ২৮০ গ্রাম। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বলছেন, 'ওই সময়ে মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সোনা দিয়ে বানানো এমন মাস্ক পরতেন।'
উল্লেখ্য, গত শতকের বিশের দশকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এ অঞ্চল থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি প্রত্ন নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ১৯৮৬ সালে এখানে খননকাজ চালিয়ে ব্রোঞ্জের তৈরি মাস্ক খুঁজে পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।